বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় গহের আলী (৬৩) নামের এক কৃষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে ওহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই মামলায় হত্যা কান্ডের মূলহোতা শরিফ হোসেন সহ তার পিতা আব্দুল হাকিম এবং একই এলাকার মাজেদুর রহমান এর ছেলে রাসেলের নাম উল্লেখ সহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়। চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনায় কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যদের মাঝে। গত রোববার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের জয়পুর মোড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া কৃষকের বাড়ি নরদাশ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর গহের আলীর নাতি রাজুর সঙ্গে শরিফ হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জয়পুর মোড়ে একা পেয়ে রাজুকে মারধর ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায় শরিফ হোসেন সহ অন্যরা। রাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই বিষয়টি জানতে পেরে দাদা গহের আলী সেখানে যায়। সে সময় জয়পুর মোড়ে গহের আলীর সঙ্গে তর্কে জড়ায় ওই বখাটে শরিফ হোসেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে লোকজনের সামনে গহের আলীকে হাতুড়িপেটা করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অতিরিক্ত হাতুড়ির আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় গহের আলী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতরা। স্থানীয় লোকজনের দাবি, শরিফ হোসেন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও অকারণে লোকজনকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রী যৌন হয়রানির দায়ে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা রাজশাহী কোর্টে চলমান আছে, সেই মামলাই সে জেলও খেটে বর্তমানে জামিনে আছে। এছাড়াও তার বাবা আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে চুরির অনেক অভিযোগ আছে। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সেকেন্দার আলী বলেন, হত্যাকান্ডের মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। মামলার মূল আসামী সহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে চলছে।