আশরাফুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সংশ্লিষ্টদের নিরব ভূমিকায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালকে অবৈধ ভাবে ভেকু মিশন দিয়ে নিজেদের স্থানীয় শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভূমি আইনের তোয়াক্কা না করে আবাদী জমি কে পুকুর খনন করায় হুমকির মুখে পড়েছে এলজিডির রাস্তা, বসতবাড়ী ও আবাদী জমি। এমনি ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামে। এ গ্রামের চলাচলের একমাত্র পাকা রাস্তাটির পাশে গভীর জলাল করে পুকুর খনন করায় হুমকির মুখে পড়েছে এ পাকা রাস্তাটি। এ রাস্তাটি রক্ষায় উক্ত জমিতে সরকার হতে প্যালাসাইডিং নির্মাণ করা হলেও জমির মালিক প্রভাব খাটিয়ে একই স্থানে প্যালাসাইডিং ঘেষে পুকুর খনন করেছেন। বর্তমানে প্যালাসাইডিং এর সাথে থাকা মাটি ধস নেমেছে। পুকুরটির চারিদিকে থাকা জমির মালিকগণের মধ্যে কারো বসতবাড়ী কারো আবাদী জমি আবার কারো গাছের বাগান চরম ভাবে হুমকিতে পড়েছে। যে কোন সময় বড় ধরণের বৃষ্টিপাত হলে পুকুরের চার পাশে থাকা জমি গুলোতে ধস নেমে আসবে। এ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন মিনা চেয়ারম্যানের বসতবাড়ীর সামনের ঢোলভাঙ্গা – নান্দিশহর রাস্তার পাশে খামার নড়াইল গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ গত কিছুদিন আগ হতে স্থানীয়দের শত বাধা উপেক্ষা করে স্থানীয় শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি কেটে ইটভাটা গুলোতে বিক্রি করছেন। এতে তিনি খনন কাজ করতে করতে পরিমাপের চেয়ে অনেক বেশী বালু মাটি উত্তোলন করে পুকুরটি করেছেন বিপদজনক,পুকুরের চারিপাশের জমির মালিকদের ফেলেছেন চরম হুমকির মুখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,যারা এ পুকুর খনন করেছে তারা অনেক শক্তিশালি তাদের আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। তাদের অর্থের কাছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বিক্রি হয়ে গেছে সেকারনে তারা দেখেও নাদেখার ভান করছেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ পুকুর খননের ফলে একটি সরকারি রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে অথচ কেউ আজোও একবার দেখতেও আসেনি। তারা ভূমি আইন,সড়ক আইন ও পরিবেশ আইন অনুযায়ী পুকুর খনন কারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বিমল কুমার জানান, বিষয়টি জানা নেই, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান,উক্ত রাস্তাটির খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান বলেন,ইতিমধ্যে উক্ত স্থান পুলিশ পরিদর্শন করেছে। উক্ত কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে ও গোপনে ভেকু মেশিন দিয়ে ভূমি শ্রেনী পরিবর্তন করা হলেও দেখেও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্টরা। আইনের তোয়াক্কা না করে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ভূমির শ্রেনী পরিবর্তন করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহৃিন্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।