মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের খিরাচক বাজারে গত শুক্রবার রাত ২ টায় ৩ টি দোকানে আগুন লেগে দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়, একটি আংশিক পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় বাবাসহ দুই ছেলেকে বিবাদী করে দোকান মালিক মঙ্গল মিয়া বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেছে। বাদী ও বিবাদী উপজেলার খিরাচক এলাকার বাসিন্দা। বিবাদীরা হলেন বাবা, মুনছুর আলীসহ ছেলে মুর্শিদ (৩৮),নাজিম (৩৫)। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) অভিযোগের বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বাদী মঙ্গল মিয়া বলেন বিবাদী মুর্শিদের (৩৮)চেহারা দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই অভিযোগ হতে পারে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় খিরাচক বাজারে বাদী মঙ্গল মিয়ার ডেকোরেটরের মালামালসহ দোকান , খাসেরগাঁও এলাকার মহসিনের মুদি দোকান সহ মালামাল এবং রশিদ মিয়ার দোকান ঘর গত শুক্রবার রাত আড়াইটায় আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে ডেকোরেটর দোকানে ঘুমিয়ে থাকা বাদী মঙ্গল মিয়া কেরোসিনের গন্ধ পায় এবং দোকানে আগুন দেখতে দোকান থেকে বের হয়ে চিৎকার -চেচামেচি করে এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এর আগেই তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় ১ ও ২ নং বিবাদী গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে বাদীর,ডেকোরেটর দোকানে আগুন লাগালে এতে পনের লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই অভিযোগে ১ ও ২নং বিবাদীর বিরুদ্ধে গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তে মেঘনা থানায় ধারা-৪৩৬ পেনাল কোড মামলা করেন। এ ঘটনা স্থানীয়রা সাত লক্ষ টাকা জরিমানা করে সেই মামলা মিমাংসা করার পর বিবাদীরা বাদীর পিছনে লাগে, প্রায়ই জরিমানার টাকা ফেরত দিতে বলে আর না হয় আবার আগুন লাগিয়ে দিবে এই বলে বাদীকে হুমকি দিত। এ বিষয়ে বাদী মঙ্গল মিয়া মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন পূর্ব শত্রুতার জেরে বিবাদীরা আমার দোকান সহ ৩ টি দোকানে আগুন লাগায় এতে প্রায় বারো লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হুমকি ধামকি শুরু হওয়ার পর থেকে আমি নিজে দোকানে যেন ক্ষতি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে রাতে দোকানে ঘুমাই। কিন্তু পাহারা দিয়ে রাখতে পারলামনা আমি নিজে বিবাদী মুর্শিদের চেহারা দেখেছি।এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করছি কিন্তু প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে বিবাদীদের বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযোগ করেছে, আগুন ভিন্ন কোন সূত্র থেকে লাগতে পারে এ বিষয়ে তদন্ত এখনো চলমান। এদিকে আজ (মঙ্গলবার) আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান ঘর পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো.সেলিম খান।