বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের বাসিন্দা হাসিম উদ্দিন ফকিরের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অর্ধশতাধিক গাছাপালা কাটার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বিবাদী ১। বুলু মিয়া ওরফে বজলু (৩৫), ২। কায়কোবাদ (৪৫), ৩। হুমায়ুন (৪০), ৪। হাসনা খাতুন (৪৫), সর্বপিতা-মৃত হুরমত আলী, ৫। সুলতান আলী (৬৫), পিতা-মৃত এবেদ আলী, ৬। খাদিজা খাতুন (৩৫), পিতা-সুলতান আলী, ৭। হানিফ (২০), পিতা-কায়কোবাদ, ৮। খালেদা (৩০), স্বামী-শাহজাহান এর বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বিবাদীরা একই গোষ্ঠির লোকজন হওযায় সাংসারিক প্রয়োজনে অনুমান ০১ বছর পূর্বে ১নং বিবাদী বুলু মিয়ার কাছ থেকে হাসিম উদ্দিন ফকির ১,৭০,০০০/-টাকা হাওলাত বাবদ গ্রহন করে। পরবর্তীতে আনুমানিক দুই মাস পূর্বে ৬০,০০০/- টাকা ফেরত দেই এবং অবশিষ্ঠ টাকা যথা সময়ে ফেরত দিতে না পারায় সেই আক্রোশে বিবাদীগন ইং- ১১/১০/২০২৪খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় বেআইনী জনতাবদ্ধে হাসিমের বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে দক্ষিন-পূর্ব সীমানায় বিদ্যমান থাকা ৫০টি কলা গাছ, ৭২টি সুপারি গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা দা দিয়ে কাটতে শুরু করে। তখন হাসিমের ছেলে রিয়াদ মিয়া (২৪) বাধা দিতে গেলে ১নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগন রিয়াদকে মারপিট শুরু করে। রিয়াদ কৌশলে তার বসত ঘরের ভিতর নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলে বিবাদীগন তার বসত ঘরের দরজা কুপাইয়া কেটে ফেলে ও বাইরাইয়া ভাংচুর করে ঘরে প্রবেশ করে ৩টি রুমে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে এরূপ ভাবে আনুমানিক ৮,০০,০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও ঘরে থাকা ক্যাবিনেটের ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ-৩৫৪০/-টাকা সহ আড়াই ভরি ওজনের বিভিন্ন সোনার গহনা বিবাদীগন পরস্পর সহায়তায় (যার মূল্য ৩,২০,০০০/-টাকা) নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোক জন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা চলে যায় এবং আহত রিয়াদকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয় এবং সেনা বাহিনীকে ফোন করে ঘটনার বিষয়টি জানাইলে, তাহারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিস্তারিত দেখে এবং ৩ ও ৪নং বিবাদীকে আটক করে ত্রিশাল থানা পুলিশ সহ সহকারী কমিশনার (ভূমি), ত্রিশাল, ময়মনসিংহকে সংবাদ দিলে তাহারা ঘটনাস্থলে আসিয়া বিস্তারিত দেখেন এবং আটককৃত বিবাদীদ্বয়কে যৌথবাহিনীর সহায়তায় ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিবাদীদ্বয়কে সাথে করে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করে।