সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা নায়েবে আমীর বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন,- ‘আমরা এমন সময় আপনাদের এখানে আহবান করেছি যে সময় ঘটে যাওয়া ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা গণবিপ্লবের পরে এ দেশে একটি স্বাধীন এবং মুক্ত পরিবেশ বিরাজমান। সেই সাথে এখানে একাটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছেন। যিনি সরকারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি সাবেক নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই সরকারকে আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতার হস্ত প্রসার করেছি। আমাদের কেন্দ্রিয় জামায়াত স্পষ্ট ভাবে এবং দৃঢ় ভাবে বলেছেন যে, এই সরকার যোক্তিক সময় পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবেন এবং যাবতীয় সংস্কার করে তারা একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে এসে জাতীয় নির্বাচন দিবেন, আমরা এইটাই প্রত্যাশা করি।’ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ তাদের নিজেস্ব কার্যালয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতের উপজেলা শাখার সেক্রেটারি রজব আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিতথেকে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর বেলাল উদ্দিন প্রধান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শাহজালাল, রাণীশংকৈল উপজেলা জামায়াতে আমীর রফিকুল ইসলাম, সহসেক্রেটারী মিন্নাতুল পাঠান, উপজেলা বাইতুলমাল সম্পাদক রমিজ উদ্দিন আহমেদ,উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নায়েবে আমির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য তার বক্তব্যে বলেন”—অনেকে তাদের সংখ্যালঘু বলেন। আমরা বলতে চাই তারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু বলে আমরা তাদের ছোট করতে চাই না।আপনারা যে যায়গায় আছেন আমরা আপনাদের সেই মর্যাদার আসনে রাখতে চাই।আপনাদের যতরকমের সমস্যা থাকতে পারে আপনারা আমাদের কাছে আসবেন না বরং আপনারাই আমাদের ডাকবেন,তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা আপনাদের পাশে এসে দাড়াবো ইনশাআল্লাহ”। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির আমরা তথ্য সন্ত্রাসের শিকার।আমাদেরকে জংগী বানানো হয়,আমাদেরকে সাম্প্রতিক শক্তি বানানো হয়,আমাদেরকে সন্ত্রাসী বানানো হয় অথচ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্রশিবির সন্ত্রাস, জংগীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, যাবতীয় খারাপ জিনিসের ধারে কাছেও আমরা নাই।” সুদীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের বাকশক্তি হরণ করা হয়েছিল। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আজ আমরা মুক্তভাবে প্রকাশ্যে আমাদের কথাগুলো বলতে পারছি।” এ সময় রাণীশংকৈল উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।