মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় চন্দনপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের ময়না বেগম (৫৬)কে পরিকল্পিত ভাবে বোরকা পড়ে নারীকে হত্যা চেষ্টায় শহিদুল ইসলাম জুয়েল (৩৮) নামে এক যুবক আদালতে আটক। জানা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে থানা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ১ মাস পর গত বৃহস্পতি বার (০১ আগস্ট) ময়না বেগমের স্বামী মো. ইলিয়াছ মোল্লা বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে মেঘনা থানায় মামলা করেছে। আসামিরা হলেন – একই এলাকার মৃত নানু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম জুয়েল (৩৮), মৃত ফজর আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৫০) ও মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন (৫০)। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত (৩০ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির সীমানাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২ ও ৩ নম্বর আসামির হুকুমে ১ নম্বর আসামি শহিদুল ইসলাম জুয়েল বোরকা পরিহিত অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই নারীর বসত ভিটায় অনধিকার প্রবেশে ঘুমন্ত ময়না বেগমকে হত্যার উদ্যেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। একপর্যায়ে ময়না বেগম জীবন রক্ষায় জোরজবরদস্তি করলে আসামির বোরকা খুলে যায়। তখন ময়না বেগম আসামিকে চিনতে পেরে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে পূণরায় তাকে আঘাত করে। পর তার বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। ময়না চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন চলে আসে এবং আসামি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। তবে এখনো ময়না বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) মামলার ১ নং আসামি খিরাচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জুয়েল আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারাধীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আটক হয়, তদন্ত চলতেছে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলতেছে।