মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পলাশবাড়ীর রক্তিম হাসান মুন্না

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের ডিমল্যান্ড এডুকেশন পার্কে সংঙ্ঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পলাশবাড়ী পৌর শহরের জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজারুল ইসলামের পুত্র রক্তিম হাসান মুন্না (২২) । গত ১৭ জুন ড্রিমল্যান্ড পার্কে এ ঘটনায় সে আহত হয়। গুরুতর আহত হওয়ার পর হতে সে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগের ১৪ নং ওয়ার্ডের ৩২ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিটি মূহুর্তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে সন্তানের উন্নত চিকিৎসা ব্যয় মেটানোয় জন্য হিমশিম খাচ্ছে রক্তিম হাসান মুন্নার পরিবার। অসহায় এ পরিবারটি সমাজের বিত্তবান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিকট সন্তানের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান। পলাশবাড়ী থানায় গুরুতর আহত রক্তিম হাসান মুন্নার বাবা সাজারুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৮ জুন নামীয় ৭ জন কে ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং -১৮ তারিখ ১৮ জুন ২০২৪ ইং এর আসামীদের পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে থানা সূত্রে জানা যায়, উক্ত মামলার আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। অপরদিকে হতাশ রক্তিম হাসান মুন্নার পরিবার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন থানা পুলিশসহ সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মানুষের নিকট। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বটে তবে তাদের আশ্রয় দাতারা এলাকায় এখনো রয়েছেন। তারা ড্রিমল্যান্ড কে ঘিরে প্রতিনিয়ত ফিটিংবাজি করে থাকে । অনেকেই মানসম্মানের ভয়ে বিষয় গুলো ধামাচাপা দিতে বাধ্য হয়। এ চক্রের সদস্যদের চিহিৃন্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার পাশাপাশি ড্রিমল্যান্ড পার্ক রক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা জরুরী বলে মনে করেন তারা। উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী ড্রিমল্যান্ড এডুকেশন পার্কের ভিতরে থাকা দুই ব্যক্তি আগত দর্শনার্থীদের টার্গেট করে স্থানীয় কয়েকটি কিশোর গ্যাংদের কাজে লাগিয়ে ফিটিং দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ চক্রের প্রধান ও সহকারি দুই ব্যক্তি ড্রিমল্যান্ডের কর্মকর্তা বা কর্মচারি না হয়েও উক্ত স্থানে গত বিশ বছর ধরে আকড়ে আছেন। বেতন ভাতা ছাড়াই বছরের পর বছর ড্রিমলান্ডে পরে থাকেন তারা । তাদের দেওয়া খবর ড্রিমল্যান্ডে আসা কপত কপতি বা প্রেমিক প্রেমিকারা ফিটিং এর শিকার হন। তাদের নিকট হতে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ কয়েকটি অংশে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। এসব টাকায় কিশোর গ্যাং এর মোটরসাইকেল এর তেল আর মাদকের অর্থের যোগান হয়ে থাকে। একাধিক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয় এ কিশোর গ্যাং এর অপরাধ কর্মকান্ড। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকলেও আজও তাদের বিরুদ্ধে বা ড্রিমল্যান্ড এডুকেশন পার্কের মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *