তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সহকারী শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান আতিককে মারধরের ঘটনায় অত্র বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সোলেমানকে আটক করেছে তিতাস থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলা ১২ টায় বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৬ মে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সোলেমানের কাকা ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ নম্বর হওয়াতে ছাত্র সোলেমান ক্লাস চলাকালীন সময় ওমুককে তমুককে মারধর করবে বলে জোরে জোরে কথা বলা শুরু করে,এবং অনেককে হুমকি ধামকি দিতে থাকে, পরে ক্লাসের শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক তাকে থামতে বললে সে আরো জোরে জোরে কথা বলা শুরু করে এক পর্যায়ে শিক্ষক তার কাকা নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিনকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে ভাতিজা সোলায়মান চওড়াও হয়ে শিক্ষককে মারধর শুরু করে। তখন ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে আটকে রাখে। তিতাস থানার পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে তিতাস থানায় নিয়ে আসে। শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, তার জোর গলার আওয়াজ শুনে আমি বলি এসব বাহিরের ঘটনা তুমি ক্লাসে এসব কথা বন্ধ করো, তখন সে আমার সাথে আরো উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে তার কাকাকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে সে আমাকে মারধর শুরু করে এবং আমার ঘার ধরে টেবিলে আঘাত করে এবং টেবিলের নিচে আমার মাথা নিয়ে নেয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। অভিযুক্ত সোলেমান বলেন,স্যার আমাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বললে আমি বের না হওয়ায় আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলে তখন আমি স্যারের গায়ে হাত তুলি। এদিকে ছাত্র সোলায়মানের বাবা ও চাচা জসিমের উগ্রতা লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সুত্রধর বলেন আমরা অত্র ইস্কুলের সকল শিক্ষক ছাত্রছাত্রীরা তার সঠিক বিচার চাচ্ছি, আইনের আওতায় এনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি। এ বিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসি, অভিযোগ পেলে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।