আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন ও রংপুর তথা উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ ৩ দফা দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের চৌমাথা মোড় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ সমাবেশটি থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেয় ছাত্র-জনতা। মিছিলটি রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমাথা মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি কাফি, জিম, সরোয়ার, মাহমুদ, মোক্তাদির, মেহেদী, সিয়াম, মাসুদ রানাসহ অন্যান্যরা। এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে প্রথম বন্ধুকের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন রংপুরের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। যার প্রানের বিনিময়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো লাখো ছাত্র জনতা কিন্তু বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছে বীরশ্রেষ্ট শহীদ আবু সাঈদ এর রংপুর বিভাগ। উন্নয়ন থেকেও পিছিয়ে পড়েছে রংপুর বিভাগীয় শহরসহ বিভাগের ৮ টি জেলা। তাই ৩ দফা বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ছাত্র-জনতা। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর বিভাগের কেউনিা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার দোসর ও দালালদের সদস্য করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের অপসরণের দাবি করেন। বক্তারা, সব ধরনের বৈষম্য বন্ধ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে চারজনকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি ৩ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ছাড়াও সব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।