ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার ২ নং আকোটেরচর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী ও অত্র ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের সাধারন সম্পাদকের পরিচয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন আসলাম বেপারী। ৮ আগষ্ট দল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও সম্প্রতি তার অর্থ লিপ্সা আগের চেয়েও বেড়ে চলেছে। টাকা আদায় হয় গ্রাম পুলিশ লিমন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজানের মাধ্যমে। ক্যাশলেস ইউপি সেবা সিস্টেমের তোয়াক্কা করেন না এরা।মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ২০০৮ এ জন্ম নেওয়া মারুফ হাসান নামের এক ছেলেকে ৫ বছর বাড়িয়ে দ্বিতীয় জন্ম নিবন্ধন দেন এই আসলাম বেপারী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান খান। যার নং ২০০৩২৯১৮৪১৫১২৫৪৯৭, আর আগের নিবন্ধন নং ২০০৮২৯১৮৪১৫১০৩২৮১ ওসমান মাষ্টারের ডাঙ্গী গ্রামের ঐ ছেলেটি কিভাবে ২টি জন্ম নিবন্ধন পেল তা খতিয়ে দেখতে ইউ,পি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সাথে কথা বললে, তিনি জানান, আমি প্রথমে স্বাক্ষর দেই নি, পরে ইউ,পি চেয়ারম্যান এর সুপারিশে আবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞদের কাছে জানতে চাইলে অপর ইউনিয়নের একজন কর্মকর্তা জানান, এটা সার্ভারে অটোমেটিক ডিটেক্ট হওয়ার কথা, কিন্তু নামের আংশিক পরিবর্তন ও সন্তানের ক্রম ইচ্ছাকৃত ভুল লেখার কারনে ডিটেক্ট হয় নি। এছাড়াও আসলাম বেপারীর নামে মোবারক মোল্যার ডাঙ্গী সালাম এর মেয়ে জ্যোতি ও সদর বেপারীর ডাঙ্গী ইখলাছের মেয়ে ইশা এর বয়স বাড়িয়ে নিবন্ধন প্রদান করে বাল্য বিবাহে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন রূপ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নি, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান।