সদরপুরে শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে অপকর্ম ঢাকতে চায় মমতাজ বেগম

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মুলামেরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তার বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ঢাকতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত দিনে তার পছন্দ মতো পরিচালনা পর্ষদকে ব্যবহার করে অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেছে। প্রধান শিক্ষকের করা সকল দূর্ণীতি কে ধামাচাপা দিতে এবং নিজের ব্যার্থতার দায় এড়াতে অন্যদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা কে প্রসারিত করতে সে এখন জোর পূর্বক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছেন। এছাড়া স্কুল কমিটির সাবেক সহসভাপতি জুলহাস উদ্দিন প্রধান শিক্ষকের দেবড় যার কারনে সে এই অন্যায় ও দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়েছেন। স্কুলের উন্নয়নের কোনো দৃশ্যপট না দেখাতে পারা ই প্রধান শিক্ষকের দূর্ণীতির জানান দেয় বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়া স্কুলের পড়াশুনার মান ও শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ফসলের মৌসুমে মাঠ কেউ একক ভাবে ব্যাবহার করেন না, মৌসুমি ফসল প্রক্রিয়াজাত করনে প্রধান শিক্ষকের দেবড় থেকে শুরু করে সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান(প্রধান শিক্ষকের দাদা শশুর)-এর ভাই ও ব্যাবহার করেন, এবং আশেপাশের স্থানীয়বাসীন্দা দের বিরুদ্ধে আনীত স্কুলের রুম ব্যাবহারের অভিযোগ টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং প্রধান শিক্ষক নিজে ধান সিদ্ধ করে স্কুলের রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন এবং শুকানোর জন্য ফ্যান অন করে রেখে দেন। সদ্য সাবেক সভাপতির ছোট ভাই হুমায়ন বেপারী(প্রধান শিক্ষকের দাদা শশুর) মৌসুমি ধান প্রকিয়াজাতকরনের জন্য ও স্কুলের মাঠ ব্যাবহার করেন, প্রধান শিক্ষকের দেবর আলমগীর ইসলাম সিদ্দিকি ফসল প্রক্রিয়াজাতকরনের জন্য স্কুলের বিদ্যুৎ, ফ্যান ও রুম ব্যাবহার করে আসছেন। এবং এলাকাবাসী আরো জানান স্কুল চলাকালীন সময়ে কেউ স্কুলের বাচ্চাদের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটে এমন কোনো কাজ করেন না, এরকম কোনো অভিযোগ প্রধান শিক্ষক আজ পর্যন্ত আশেপাশের স্থানীয়বাসীদের নামে উপজেলা শিক্ষা অফিস বা উপজেলা নির্বাহী বরাবর দায়ের করেন নি, সুতরাং স্থানীয় এলাকাবসীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে মনে করা হয়। এর আগেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে,৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ ও উপর মহলের ক্ষমতা খাটিয়ে সব কিছু ধামাচাপা দিয়েছেন। এছাড়াও গত কয়েক বছরে প্রায় ৬-৭ জন শিক্ষক উনার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদেরকে বদলি হতে বাধ্য করেছেন। আজ ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে চারটায় বিদ্যালয়ের মাঠে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুলের সাবেক ছাত্র ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করান। যা শিক্ষা নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *