মেঘনা উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি সেলিম ভূইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রতন শিকদার

মেঘনা উপজেলা জনকল্যাণ সমিতিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ)অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া সভাপতি ও বর্তমান মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ফাতেমা আক্তার লেখক, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, নারী নেত্রী: ফাতেমা আক্তার খানম তার ফেসবুক ওয়ালে গত ২ এপ্রিল সেলিম ভুইয়ার রাজনৈতিক পরিচয় সহ সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতে গিয়ে এ কথা লিখেছেন। তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো —অধ্যক্ষ এডভোকেট সেলিম ভূইঁয়া য়ার সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিচিতি ঃ অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূইঁয়া বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক পরিচিত ব্যক্তি। শিক্ষক কর্মচারী কল্যান ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব ছিলেন তার হাত দিয়েই প্রথম তিন তিনবারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী গনতন্ত্রের প্রহরী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের প্রথম চেকটি মানিকার চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তরী সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি জনাব তারা মিয়া সাহেবের হাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে শিক্ষকগন অবসর কালীন অর্থ প্রাপ্তির স্বীকৃতি পায়। ২০০৬ সালে তারই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে শিক্ষকগন শতভাগ বেতন ভাতা পান। শিক্ষকদের ২৫% আর কর্মচারিদের ৫০% বেতন বোনাস অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার পরিশ্রমের ফসল। শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করনেন যে একটি হিসেব দরকার এটাও করে রেখেছেন যেই হিসেব প্রমাণ করে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করনে সরকারের লাভ হয়। শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইঁয়া প্রফেশনাল মুভম্যান্ট অব বাংলাদেশ এ সংগঠনটির দায়িত্বপূর্ন পদে আছেন। সে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একে স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তার সময়ে প্রতিষ্টানটি ঢাকা বোর্ডে ফলাফলের দিক দিয়ে সেরা ছিল। সেলিম ভূইঁয়া মানিকার চর কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সেলিম ভূইয়া বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। সে মেঘনা উপজেলার সন্তান হিসেবে মেঘনা উপজেলা জনকল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠিত করেছিল যার সেক্রেটারি রতন সিকদার আর সেলিম ভূইয়া সভাপতি । সেলিম ভূইয়া স্কুল জীবনে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সে মানিকার চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র । স্কুল জীবন থেকে সে ভাল বক্তা। মানিকার চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষার্থীরা আমার এ লেখাটার স্বাক্ষী ১৯৭০ সনে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে মানিকার চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক নির্বাচনী মহাসমাবেশ হয় সেলিম ভূইয়া সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে অসাধারণ বক্তব্য রাখায় তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা তাকে কোলে তুলে নেয় আর দোয়া করে আমার পরে আমার কুমিল্লায় সে আমার স্হান দখল করবে। এ বছর কিছু দিন পূর্বে আমার এলাকায় মুক্তিনগর বাজারে গেলে কয়েকজনে আমাকে প্রশ্ন করে আমার এ ঘটনা মনে আছে কিনা। আমি সেদিন ঐ মাঠে এ প্রোগ্রামে ছিলাম। আমি তখন দশম শ্রেনীর ছাত্রী।ছোট বেলা থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী দৃশ্যমান ছিল । মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলা ছিল বাল্যকালের স্বভাব। সেলিম ভূইয়া ১৯৭৬ সন থেকে জাগদলের সাথে সম্পৃক্ত। সেলিম ভূইয়ার পরিবার বিএনপি পরিবার। কিছু আওয়ামীলীগের এজেন্ট বিএনপিতে ঘাপটি মেরে বসে আছে সারা বাংলাদশে । তারা কর্মী মূল্যায়ন করেনা।টাকায় পদ পাওয়া গেলে সব কিছু উৎসর্গ করার কি দরকার! দেশ নায়ক তারেক রহমান বিষয়গুলি আমলে নিয়েছেন ত্যাগী নেতাদের হাতে দায়িত্ব অর্পন করছেন। যাদের দায়িত্ব দিচ্ছেন তাদের উচিত বাদ পরা ত্যাগীদের দলে সম্পৃক্ত করা। কর্মের মাধ্যমে কর্মী মূল্যায়িত হবে। একদিন সেলিম ভূইয়ার পরিবারের হাতে এ মেঘনার বিএনপির দায়িত্ব ছিল। অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া কুমিল্লা (জাতীয়তাবাদী দলের ) বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন এটা মেঘনাবাসীর অহংকার আর গর্বের বিষয়। সকলের উচিত সেলিম ভূইয়াকে কাজে সহযোগিতা করা। মানুষ মাত্রই ভূল হবে এটা স্বাভাবিক এ ভুলক্রটি সংশোধন মেঘনাবাসীকেই করতে হবে অতি গোপনে নিজেদের আপনজন ভেবে। কেউ অভিমান করে দূরে সরে যাবার দরকার নেই পাশে বসে আলোচনা করুন আর নিজেদের সন্তানের কাজকে সহজ করতে সহযোগিতা করুন।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *