মেঘনায় ভুয়া দলিল সম্পাদনের অভিযোগে আটক ৩

সন্ধ্যায় আটক করে মধ্যরাতে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ভুয়া দলিল সম্পাদনের অভিযোগে শেখের গাও এলাকার দলিল লিখক আল আমিন, রামনগর ছোয়ানী এলাকার রুমন ও জাহাঙ্গীর নামে এই তিনজনকে আটক করেছে মেঘনা থানা পুলিশ। সম্প্রতি রামনগর ছোয়ানী এলাকার ভুক্তভোগী সোহেল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে তারই প্রেক্ষিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় থানার উপ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে। অনুসন্ধান করে জানা যায়, দলিল লিখক আল আমিন বাদীর কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি ভুয়া দলিল সম্পাদন করেন। অন্যদিকে সম্পাদনকৃত দলিল মেঘনা সাব—রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিল করা হয়। পরে গত রবিবার ভুয়া দলিল সম্পাদনের বিষয়টি কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, আটকৃতরা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দেয়। পুলিশ আটক করে নিয়ে আসার পর রাতে শুরু হয় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের তদবির। অপরদিকে অভিযোগকারী সোহেল বলেন— রাত আড়াইটার দিকে মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম (তাজ), স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও দলিল লিখক ভাগিনা সেলিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত থেকে ওসি সাহেবকে তদবির করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নেতারা বলছে আমার জমি নিয়ে কোনো ধরনের ঝামেলা করবেনা। তাই আমি বাধ্য হয়ে অভিযোগ তুলে নেই। তাছাড়া আরও অনেক কথা এগুলো পরে বলবো। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে থানায় যাই। তখন আমাকে দেখে উভয় পক্ষ এসে বলতেছে তারা নাকি মিমাংসায় গেছে। তাই আমি বলছি বাদী—বিবাদী মিমাংসা হয়ে গেলে আর কি থাকে? উপ—পরিদর্শক মোজাম্মেল হক আমাদের এই প্রতিনিধিকে বলেন, উভয় পক্ষ মিমাংসা করে ফেলছে। আর সাংবাদিক ম্যানেজ করার বিষয়টি (ভাগিনা) সেলিম আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছে। পরে সেলিমের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন— আমি বিষয়টি দায়িত্ব নিয়েছি পরে যোগাযোগ করতেছি তোমাদের সাথে। মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওরা নিজেরা নিজেরা মিমাংসা হয়ে গেছে তাই তাদের রাত ১২টায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু আড়াইটায় নয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের নিকট থানায় মিমাংসার আইনের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি পুলিশের, তাদের আইনে কি আছে সেটা আমি বলতে পারছিনা। থানায় অভিযোগ মিমাংসার ব্যপারে আইনের ভিত্তি সম্পর্কে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি (বিপিএম বার) আমাদের এই প্রতিবেদককে বলেন, যদি উভয় পক্ষ রাজি থাকে তাহলে মিমাংসা করা যায়। আর যদি সিরিয়াসনেস কিছু হয় সেটা মামলা হবে।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *