মো. শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় উপজেলায় জোরপূর্বক জমি দখল ও মারপিটসহ নিউজ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে,২৪) উপজেলার লুটেরচর গ্রামের দক্ষিণ পাশে ভাটেরচর নতুন রাস্তা হতে উপজেলা যেতে প্রায় ১ কিলোমিটার এগিয়ে হাইওয়ে রাস্তা থেকে শ্যামলীমা প্রজেক্ট পর্যন্ত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রাস্তার কাজ চলাকালীন সময় জোড়পূর্বক জমি দখল ও মারপিটসহ এমন ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালত, দাউদকান্দি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। বাদী আইনী লড়াইয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ লাকসাম সিনিয়র জর্জ আদালত থেকে গত ২৯ মে, একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও নিয়ে আসেন। এ নিষেধাজ্ঞায় আছে যে, আগামী ধার্য্যকৃত তারিখ পর্যন্ত নালিশী ভূমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতিশীল আদেশ বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া গেল। কিন্তু কোর্টের এই আদেশ অমান্য করে চলছে শ্যামলীমা সমবায় সমিতি লিমিটেড এর রাস্তার কার্যক্রম। মামলাদীন ভূমি হচ্ছে বি, এস ১৩৮৬ ও ৩৫৫ সাবেক ৬১২,৬১৩,৭৫১,৬১৪,৫৬৪ মোট ১১৪ শতক ভূমির উপর মামলা চলমান। শ্যামলীমা সমবায় সমিতির লিমিটেড এর সাধারণ সম্পাদক মেঘনা উপজেলার সাবেক ইউএনও বর্তমান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- এখানে এলজিইডি'র একটা প্রকল্পের কাজ করতেছে, যারা অভিযোগ করছে তারা সরকারি জায়গা দখল করে আছে। এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুল ইসলাম সিকদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- শ্যামলীমা প্রজেক্টে এখন কোন এলজিইডি কাজ করতেছে না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক তাদের ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করতেছে। সরকারি কোনো প্রকল্প নেই, নেই কোনো সরকারি অনুমোদন। মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাকের ডগা দিয়ে কি করে এমন অবৈধ রাস্তা নির্মান করে এমন অভিযোগ তুলে প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে খাসজমি নির্ধারন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং এ জমির বাহিরে কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছি। এই রাস্তা নির্মানের নামে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাঝে টাকার অংঙ্ক পারসেন্টিস হিসাবে ভাগাভাগি হয় বলে মানুষের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে। সাধারণ মানুষ বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে হামলা- মামলা ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। প্রভাবশালীদের আতঙ্কে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।