মো. শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় একটি বেসরকারি 'সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্ট (সিসিডিএ)' এনজিও কোম্পানির লোন অফিসার সান্তনা আক্তার (১৯) নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত নারী একই জেলার মুরাদনগর থানাধীন যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগাড়া গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের মেয়ে। শনিবার (১৮ মে,২৪) কথিত এনজিও অফিসের পাশে তার আবাসিক কক্ষ থেকে সান্তনা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের মাতাবেরকান্দি গ্রামের মোড়ে অবস্থিত এ অফিসের পাশের রুমে আবাসিক থাকতেন নিহত সান্তনা আক্তার ও খাদিজা আক্তার। তবে রুমমেট খাদিজা আক্তার শুক্রবার ছুটিতে গেলে এই সুযোগে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আজিজ মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তার লোকজন আসতে দেরি হওয়ায় আমরা লাশসহ তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন ও বাটন ফোন উদ্ধার করে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে থানায় নিয়ে আসি। এখনো জানা যায়নি সে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে! এনজিওর ম্যানেজার আবু কাউসার জানান, শুক্রবার তার সাপ্তাহিক ছুটি ছিলো কিন্তু আজকে অফিসে আসতে দেরি হওয়ায় আমি লোক পাঠাই। তার রুমে কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় রুমের দরজা দিয়ে আমার কলিগ উঁকি দিয়ে দেখে ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ। পরে আমি সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি আরও জানান- সান্তনা আক্তার একজন ভালো কর্মী ছিলেন। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। তাকে অফিসের কাজেও কোনরকম চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। সে আমার অফিসে প্রায় এক বছর যাবৎ নিয়মিত চাকরি করে যাচ্ছেন। এদিকে নিহতের মা মিনু বেগমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে কারও সাথে সম্পর্কে জড়ায়নি। অফিসের স্যাররাও খুব আদর করতো। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মেঘনা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে আমরা রুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন।