মো. শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানিয়েছে একটি সচেতন মহল। গেলো ৮ মে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ যাবৎ নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে আকস্মিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিকের দিকে ধাবিত হচ্ছে এমনটাই দেখা যায়। বড় ধরনের কোন অঘটন না ঘটলেও কিছু ঘটনায় আতংকিত মেঘনাবাসী। ইতিমধ্যে সম্প্রতি গণপরিবহন "রুপান্তর মেঘনা সুপার সার্ভিস" এর ক্যাশ কাউন্টার দিন দুপুরে সিসি ক্যামেরা ভেঙে টাকা ছিনতাইসহ হুমকি—ধমকি প্রদর্শন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে মেঘনা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা পুরো মেঘনা উপজেলাকে আতঙ্কিত করেছে। অন্যদিকে উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে অগ্নিসংযোগ সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়। সচেতন মহল মনে করছেন উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পর ক্ষমতা ও আধিপত্যের মেরুকরণের অংশ হিসেবে এসব হচ্ছে। নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ভাইস চেয়ারম্যানদের সরকারিভাবে গ্যাজেট হলেও শপথ এখনো হয়নি। তবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি তাদের জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা। অপার সম্ভাবনার মেঘনা উপজেলা গড়তে হলে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। পাশাপাশি উপজেলার কোথাও যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে দায়িত্বশীলদের নজর রাখতে হবে। অন্যথায় যে কোনো সময় এ উপজেলায় বিভিন্ন মহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।