মো. শহিদুজ্জামান রনি: গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজার সংলগ্ন টিএনটি (দিদার মেম্বার মোড়) মোড়ে হাজ্বী জামির মোল্লা সুপার মার্কেটের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে 'স্কাইজোন রুফটপ রেস্টুরেন্ট বিডি' নামের এক ভিন্ন রকমের রেষ্টুরেন্ট। যেখানে কোরআনের হাফেজদের ৪০% ও রেস্টুরেন্ট এরিয়ার সকল সরকারি চাকরিজীবীদের ২০% ডিসকাউন্টসহ সপ্তাহে একদিন মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রতিষ্ঠানের মালিক কোরআন প্রেমিক আল আমিন সিকদার। তার এমন উদারতা দেখে এলাকায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের করিমাবাদ গ্রামের হাজ্বী জসিম উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, এই রেষ্টুরেন্টটি গত ১৫ই মার্চ, ২০২৪ইং তারিখে উদ্বোধন করা হয়। এর আগে আল আমিন শিকদারসহ তিনজন বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠানটি যৌথ উদ্যোগে গড়ে তুলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় একমাস চালানোর পর পার্টনাররা রেষ্টুরেন্টে রীতিমতো সময় দিতে না পেরে পার্টনারশিপ থেকে বিদায় নেন। তাদের এমন বিদায়ে মন না ভেঙে তিনি একাই সততা ও নিষ্ঠার সহিত চালিয়ে যাচ্ছেন এই রেষ্টুরেন্টটি। এখন পর্যন্ত লাভের মুখ না দেখলেও লছ হয়নি। আরও জানা গেছে- আল আমিন শিকদারের তিন কন্যার মধ্যে দুই কন্যাকে কোরআনে হাফেজা ও আলেমা বানানোর উদ্দেশ্যে হাফেজিয়া মাদরাসায় দিয়ে দেন। এরপর মেয়েদের মাদ্রাসায় দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের সঙ্গে চলাফেরাসহ আন্তরিকতা বেড়ে যায়। আর ছোট কন্যা আরেকটু বড় হলে তাকেও মাদ্রাসায় ভর্তি করাবেন। রেষ্টুরেন্ট মালিক আল আমিন শিকদার একান্ত সাক্ষাৎকারে ভোরের কাগজকে বলেন, আমার তিন কন্যা। এরমধ্যে দুই কন্যাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর পর থেকে হাফেজদের প্রতি আমার আন্তরিকতা বেড়ে যায়। যার কারণে আমি হাফেজদেরকে বিশেষ ছাড়ে ভালো খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে আমি সবসময় এভাবেই আলেম-ওলামাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এই কোরআন প্রেমিক আল আমিন শিকদারের ব্যাপারে রেষ্টুরেন্টের আশেপাশের কয়েকজন দোকানদার আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান- এই ছেলে একজন পরোপকারী। সে আমাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। প্রায়ই দেখতাম সবসময় হতদরিদ্রদের আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে থাকতো। সে যে এই মহৎ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে এতে তাকে নিয়ে আমরা গর্ব না করে পারছি না।