মুরাদনগরে তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় লাগাতার তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। নাজুক হয়ে পড়ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। তীব্র রোদ আর তাপদাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজলোবাসী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োাজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। বাতাস আছে হাল্কা। সাপ্তাহজুড়ে ঠানা দাবাদাহে পুরছে মুরাদনগর উপজেলা। খাঁ খাঁ রোদে মুরাদনগর উপজেলার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে লোক চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। কোথাও গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেককে দেখা গেছে রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে। আর কর্মজীবী মানুষেরও যেন কষ্টের শেষ নেই। উপজলোয় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোদের প্রখরতায় রাস্তায় ছিলনা তেমন কোনো মানুষজন। যানবাহন চলাচল করতে কম দেখা গেছে। পথচারীরা টিউবলের পানি মুখে ও মাথায় দিয়ে গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে তীব্র গরমের কারনে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, কাশিসহ নানা রোগে আক্রন্ত হওয়ার সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি। রিক্সা চালক মতিন মিয়া বলেন, গরমের কারনে রিক্সা চালাতে বেশ কষ্ট হলেও চালাতে হবে। রিক্সা না চালালে ছেলে-মেয়ে নিয়া খামু কি। কৃষক লিটন মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরমে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত, তারপরেও কিছুই করার নাই। খেতে হলে মাঠে কাজ করতে হবে। উপজেলা সদরের রাস্তার পাশে সরবত বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, গরমে আগের চেয়ে সরবত বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে রোদের অতিরিক্ত তাপের কারনে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে কম। মানুষ থাকলে বিক্রি আরো বেশি হতো। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপ প্রবাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *