মো. শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র ২দিন বাকি। তীব্র তাপদাহকে উপেক্ষা করে প্রার্থী ও তার কর্মীসমর্থকরা প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এমনটাই দেখা যায়। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরে নতুন আঙ্গিকে উপজেলাকে ঢেলে সাজানোর আশ্বাসে প্রচারণা চালাচ্ছে এ প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই প্রচারনায় ভোটারদের আস্থার জায়গাটি প্রায় পুরোটাই দখলে নিয়েছেন বই প্রতীকের মো. মিলন সরকার। তারুণ্য দীপ্ত এই প্রার্থীর হয়ে কাজ করছে উপজেলার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে যোগ্যতার দিক দিয়ে মো. মিলন সরকারের সামনে নেই তার কোন যোগ্য প্রার্থী। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভোটে মিলন সরকারের সামনে কেউ টিকবেনা বলেও আশাবাদী তাদের। একই ধরনের কথা বলেছেন উপজেলার ৮ ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা। তাদের মতে- উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি বেশ গুরুত্বপূর্ন একটি পদ। এখানে তারা এমন প্রতিনিধিত্ব বেছে নেবেন যার থাকবে জনগনের জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করার মানসিকতা, থাকবে কাজ করার মত সকল দিক দিয়ে মানানসই অবস্থান। সেই দিক বিবেচনায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মো. মিলন সরকারের ধারের কাছেও নেই অন্য কোন প্রার্থী। ভোটারদের এমন আস্থাকেই নিজের বড় শক্তি বলে দাবি করেছেন বই প্রতীকের এ প্রার্থী। জনগনের হয়ে কাজ করবেন যেকোন অবস্থানে থেকে এমনটাই প্রত্যাশা তার। এদিকে মিলন সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন- তালা প্রতীকের মো. রবিন মিয়া, চশমা প্রতীকের মো. আবুল কালাম, টিউবওয়েল প্রতীকের মো. খলিলুর রহমান। মো. মিলন সরকার আমাদের এই প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, বিগত ৫ বছর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলাম। হলফ করে বলতে পারি ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেছি কিন্তু অপব্যবহার করিনি। ভাইস চেয়ারম্যান পদটি অত্যন্ত সম্মান ও গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই চেয়ারে বসে মানুষের জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে সবকটি সেক্টরে কাজ করার। কাজ করতে গিয়ে সব সময় হয়তো সফল হইনি তবে চেষ্টা করেছি কিছু করার। আপনারা জানেন পাস করার এক বছরের মধ্যে শুরু হয়ে গেলো বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস। যখন সারা দেশের মানুষ ঘরমুখো তখন আমি বাহিরে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দ্বিতীয়বারের মত প্রার্থী হয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি ও দেখেছি, অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে আমার। যদি জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়লাভ করান তাহলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারবো। তিনি আরও বলেন- মেঘনাবাসী জানেন আমি আমার জীবন-যৌবনের সোনালী সময় রাজনীতিতে ব্যয় করেছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগের স্বাচ্ছা কর্মী। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কীভাবে লবিং করে কাজ আনতে হয় সেটা আমি কিছুটা হলেও শিখেছি। আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী, আগামী ৮ মে ভোট, আপনার মাধ্যমে মেঘনাবাসীর প্রতি অনুরোধ আমার বই প্রতীক মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করে পূণরায় আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আমি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আপনাদের সকলের পাশে থাকতে চাই।