সম্প্রতি ভারতের জাহাজ এমভি রুয়েন ও বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর মধ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমভি রুয়েন ও এর নাবিকদের উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। তবে এমভি আবদুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের কবলে রয়েছে। এরই মধ্যে আরেকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের খবর এলো। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, আরব সাগরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ছিনতাই হয় ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল–কাম্বার ৭৮৬’। ৯ জন অস্ত্রধারী জাহাজটি ছিনতাই করে। ওই সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে। তবে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই লক্ষ্যে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী ছিনতাই ইরানি জাহাজটির পথ রোধ করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, দুটো যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার এই জাহাজ দুটি ইরানি জাহাজের পথ রোধ করে। আশা করা যাচ্ছে শিগগির ওই জাহাজ ও এর নাবিকদের উদ্ধার করা যাবে। এদিকে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে। মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।