মো. শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ শেষে মিছিলে মুখরিত মেঘনা উপজেলা, চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন এর মধ্যে উপজেলার মানিকার ইউনিয়ন থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে মেঘনা উপজেলা মানিকার চর ইউনিয়নটিতে একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গার্লস স্কুল সহ উপজেলার বৃহত্তর মার্কেট, সরকারি, বেসরকারি ব্যংক, অফিস, সহ দৃষ্টিনন্দন মার্কেট থাকায় মানিকার চর বাজার কে বানিজ্যিক হেডকোয়ার্টার বলা হয়। আর ইউনিয়নের রাজনীতির চালিকা শক্তি বাজার কেন্দ্রিক। এই এলাকায় দলীয় আদর্শের বাইরে আঞ্চলিক ঐক্যর একটি রেওয়াজ রয়েছে। কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো পরোক্ষভাবে এই ঐক্য ধরে রাখে।এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা সকল সেক্টরে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দেখা গেছে প্রার্থীতায় ওরা এগিয়ে। মানিকার চর ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম তিনি প্রতীক পেয়েছেন আনারস, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন — রবিন মিয়া তিনি প্রতীক পেয়েছেন তালা , আবুল কালাম তিনি প্রতীক পেয়েছেন চশমা,খলিলুর রহমান প্রতীক পেয়েছেন টিউবওয়েল। অপরদিকে ভাওরখোলা ইউনিয়ন ও চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে কোন প্রার্থী নেই, গোবিন্দ পুর ইউনিয়ন থেকে এইবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দিলারা শিরিন তিনি প্রতীক পেয়েছেন হাস। লুটের চর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার প্রার্থী হয়েছেন, তিনি প্রতীক পেয়েছেন মোটর সাইকেল। চন্দন পুর ইউনিয়ন পরিষদে তুলা তুলী গ্রাম থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, তিনি প্রতীক পেয়েছেন দোয়াত কলম, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার,তিনি প্রতীক পেয়েছেন বই। রাধানগর ইউনিয়ন থেকে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন — নাসির উদ্দিন তিনি প্রতীক পেয়েছেন কাপ — পিরিচ, রমিজ উদ্দিন প্রতীক পেয়েছেন ঘোড়া। আজ মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে প্রচারণা ও মিছিলে মুখরিত সারা উপজেলা।