পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে শিখা

সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৬ জন তাদের মধ্যে এবার আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তরুণ সমাজ সেবী শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাবেকুন নাহার শিখা। পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তিনিও এক জন। নানা কারনে বাড়তি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন এই তরুন নেত্রী। সরেজমিনে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে অন্য ৫ জন প্রার্থীর সাথে মোকবেলা করতে সাবেকুন্ নাহার শিখা কোমর বেঁধে নেমেছেন ভোট যুদ্ধের মাঠে। জয়ের লক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে তীব্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ভোট চাইতে ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রস্তুতি। পাঁচবিবি উপজেলা শহরের দানেজপুর এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কন্যা ও ঢাকাস্থ বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রাসেলের .স্ত্রী সাবেকুন্ নাহার শিখা নিজেও সামাজসেবী হিসাবে ইতোমেধ্যে সাধারন মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি তার মানবিক সংগঠন ‘শিখা কল্যান ট্রাষ্টের’ মাধ্যমে এলাকার অগনিত দু:স্থ, অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের সেবা করে চলেছেন বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের স্কুলগামী করতে লেখাপড়ার খরচ, পোষাক-পরিচ্ছদ দান, অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, গৃহহীনদের জন্য আবাসনের জন্য আর্থিক অনুদানসহ বহুমূখী কল্যানকর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাধারনের মানুষের দাবীর মুখে এ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান তিনি। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণার পর থেকেই স্ব স্ব এলাকায় প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে তিনিও সদল বলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে রয়েছন বলে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। আটুল গ্রামের নজরুল ইসলাম, পেয়ারা গ্রামের মিল্টন, কুসুম্বা গ্রামের তারেকসহ উপজেলার অনেক ভোটার জানান, ‘ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ারও অনেক আগে থেকে শিখা আপা এলাকার দরিদ্র মানুষ তাদের সন্তানের জন্য যে ধরনের দান অনুদান করেছেন তা কোন জনপ্রতিনিধিও করেননি। তাই সাধারন ভোটাদের আনেকেই শিখা আপার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। শিখা জানান, অসহায় মানুষদের জন্য কল্যানকর ও উন্নয়ন করতে গেলে শুধু ব্যাক্তিগত অর্থে সম্ভব নয়, সরকারী বরাদ্দের প্রয়োজন। আমার ব্যাক্তিগত কোন লোভ নেই, তার প্রয়োজনও পড়ে না। তাই জনগনের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি, জনগন আমাকে ঘোড়া মার্কায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করি। নির্বাচিত হলে সমাজ ও অসহায় মানুষদের জন্য সাধ্যমত সেবা করতে পারব, কোন অন্যথা হবে না, এ অঙ্গিকার করছি।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *