মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের ফলে চরম আকার ধারণ করছে জনদুর্ভোগ। ২৪ ঘণ্টায় ছয়-সাত ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। এমনকি ইফতার, তারাবিহ, সেহরি এই সময় গুলোতেও লোডশেডিং অহরহ। সাধারণ মানুষের জনজীবন, ব্যাবসা-বাণিজ্য, তীব্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এতে রোজাদার মোসল্লিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসা বাড়ি দোকান পাটের ফ্রিজিং জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। অনেক গ্রাহকের অভিযোগ বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয় জানতে অফিসিয়াল মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অধিকাংশ সময়ে ফোন কনভার্ট করে রাখে। জানা যায় মেঘনায় পল্লী বিদুৎয়ের লোডশেডিংয়ের যাঁতাকলে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার ২০০ গ্রাহক, এ বিষয়ে মানিকারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে রয়েছি। লোডশেডিংয়ের কারণে ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। জেনোরেটর দিয়ে অনেকেই সমস্যার সমাধান করছেন। লোডশেডিংবিষয় জানতে চাইলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ মেঘনা সাব জোনাল অফিসের এ জি এম আহমেদ শাহরিয়ার বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম হচ্ছে। ফলে ৬০ ভাগ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এদিকে আমাদের মেঘনায় ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ, আমরা ব্যবহার করি ৩.১৫ মেগাওয়াট আমরা অলরেডি ০.১৫ মেগাওয়াট বেশি ব্যবহার করতেছি এজন্যে আমাদের অনেক কৈফিয়ত দিতে হয়। আমাদের চাহিদা প্রায় ১২ মেগাওয়াট, আমি অলরেডি আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয়সহ উপরমহলে চাহিদা সম্পর্কে জানিয়েছি আশা করি খুব শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা হবে।