আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর রওশনবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাঃ নবনী আক্তার ফিমা কে বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক আতোয়ার রহমান আকন্দ গত ১৩ নভেম্বর বুধবার বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করায় শিক্ষর্থী নবনী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এঘটনাটি শুনে স্থানীয় জনসাধারণ ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে শিক্ষর্থীর পিতা ফারুকুল ইসলাম মন্ডল এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং তার আদুরে সন্তানের উপর এমন অমানবিক নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক লিখিত অভিযোগ করেন । তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত পাষণ্ড শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে ফারুকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, যাতে করে অসৎ বদমেজাজি শিক্ষকদের এমন আচরণে বিদ্যালয়ে পুনরাবৃত্তি না ঘটে। অপরদিকে এবিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট অভিযুক্ত শিক্ষক আতোয়ার রহমান আকন্দ কোন বক্তব্য প্রদান করতে রাজি হয়নি। এবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার মোঃ আল ইয়াসা রহমান তাপাদার জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে নারী ও শিশু আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট আবেদুর রহমান সবুজ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১’ এ নিম্নলিখিত ১১ ধরনের শাস্তি শ্রেনীকক্ষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠদানকালে কিংবা অন্য কোন সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উল্লিখিত আচরণ করে তবে তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি হবে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।