আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরই সড়ক মহাসড়কগুলোতে যানজটে যাত্রীদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয় ৷ বিগত দিনের এ ধরনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সি সার্কেল উদয় কুমার সাহা’র সহযোগীতায় পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও চৌকস কর্মপরিকল্পনার ফলে বিগত সময়ের চাইতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি পলাশবাড়ী পৌর শহরের সড়ক মহাসড়ক দীর্ঘদিনের যানজটের শহরের তকমা থেকে মুক্তি পেয়েছে । ওসি তদন্ত লাইছুর রহমানসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তাগণ ও পুলিশ সদস্যরা পৃথক পৃথক টিমে উপজেলা জুড়ে এ আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে কাজ করছেন। এছাড়াও যানজট নিরসনে সার্বক্ষণিক ২৪ ঘন্টাই নিরলস পরিশ্রম করছেন স্বেচ্ছাসেবক টিম,পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গাইবান্ধা জেলা ও উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত পলাশবাড়ীর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, বাসস্ট্যান্ড গুলোতে ট্রাফিক পুলিশ সহ কমিউনিটি পুলিশের তদারকি ছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রী ছাউনী ও কন্টোলরুম । দেশের বিভিন্ন স্থান হতে চলাচলরত যানবাহন গুলোর যাত্রী উঠা নামার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ যানজট নিরসনে সাফল্য অর্জন করেছেন ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান। তার এ সাফল্যে প্রশংসার দাবীদার থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। যানজট মুক্ত পৌর শহর বাস্তবায়ন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা, যানবাহনের মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, জনসাধারণ সহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, সকলের সহযোগীতায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও যানজট নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
( ছবিটি :: ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ছবিটি পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড় কে ক্যামেরা বন্দি করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ )