আরোয়ার জাহান পারভেজ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ভেজাল পণ্য মজুদ রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। বুধবার(৮জানুয়ারি) দুপুরে ত্রিশাল পৌর এলাকায় সিফাত এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ও উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বেজাল পণ্য মজুদ ও মোবাইল কোর্টে অসহযোগিতা করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার হোসেন শামীম ভিতরে থেকে অন্যলোক দিয়ে গোডাউনের বাহিরে তালাবন্ধ করে রাখেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসটিআইয়ের লোকজন দরজায় বার বার নক করেও কোন সাড়া না পাওয়ায় ভিতরে লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ভিতরে প্রবেশ করে আনোয়ার হোসেন শামীম ও তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়। তার গোডাউনের থাকা নামী দামী ব্র্যাণ্ডের মোড়ক, রাসায়ানিক দ্রব্য ও এগুলো তৈরীতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলে। এগুলোর বিষয়ে মোবাইর কোর্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় । গোডাউনে বিপুল পরিমান ভেজাল ম্যাংগো জোস, বাচ্চাদের আইস ললির উপস্থিতি পায়। এগুলোর স্যাম্পল পরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআই কর্মকর্তাগণ নিয়ে যায়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার শাওন কুমার ধর আবীর, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) রাইসুল ইসলাম ও ত্রিশাল থানা পুলিশের সদস্য। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিএসটিআইকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় অবৈধ মালামাল পাওয়া যায় নাই কিন্তু দরজা বন্ধ রেখে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে অসহযোগীতা করার জন্য বিএসটিআই পরিদর্শক অভিযোগ দাখিল করে। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সিফাত এন্টাপ্রাইজকে বিএসটিআই আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।