আরোয়ার জাহান পারভেজ: ডিলার নিয়োগের পূর্বেই শর্তানুযায়ি হতদরিদ্রদের “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী”র চাল রাখতে দোকানঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র বা ঘরের বর্ণনা দাখিল করতে হয়। কিন্তু শর্তের নিয়ম ভেঙে মাদরাসায় চাল রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে। সরকারের পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ত্রিশাল উপজেলার ডিলাররাও। হতদরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণে ডিলার নিয়োগে, চাল মজুত রাখতে দোকানঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র দাখিল করাসহ থাকে নানা শর্তাবলী। পরিপত্র অনুযায়ি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু শর্ত ভেঙে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডিলার আবদুল মতিন স্থানীয় ছলিমপুর মধ্যপাড়া ফুরকানিয়া মাদরাসায় রেখেছেন হতদরিদ্রদের “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী”র চাল। চার দিন বন্ধ রাখা হয় মাদরাসা। এ তথ্য সাংবাদিকদের কাছে আসায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর সুবিধাভোগি স্থানীয় মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মতিন ডিলারের লোকজন মারধর করেন। স্থানীয়দের দেয়া এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্যানারে দোকানের অবস্থান ছলিমপুর মধ্য বাজার লিখা থাকলেও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল মজুত রাখা হয়েছে ছলিমপুর মধ্যপাড়া ফুরকানিয়া মাদরাসায়। নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে মাদরাসা। সেখানেই দেখা মিলে ডিলার আবদুল মতিনের। এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুড অফিসের লোকজন এসে দেখে গেছে। তারা কোন সমস্য মনে করেননি। মানিক মিয়াকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইলিয়াস আহমেদ জানান, পরিপত্র অনুযায়ি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টি জানতে পেরে ডিলার আবদুল মতিনকে কারণ দর্শানোর নোটিস করা হয়েছে।