ত্রিশালে অপরাধ নির্মুলে কাজ করছেন ওসি কামাল

আরোয়ার জাহান পারভেজ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মোঃ কামাল হোসেন যোগদানের পর অনেকটাই বদলে গেছে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ‘পুলিশ শাসক নয়- জনগণের সেবক’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এখন ত্রিশালের জনসাধারণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ওসি কামাল হোসেন। এ কারণে হ্রাস পেয়েছে মানুষের প্রতি পুলিশের হয়রানি। শক্তি বা বল প্রযোগ নয়, বরং ভালবাসার বার্তা দিয়ে সমাজ থেকে অপরাধের অন্ধকার দূর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে চরম উত্তেজনাকর একটা পরিস্থিতিতে যোগদান করেন তিনি। এরপর কঠোর হাতে অপরাধ দমন, বিচক্ষণতার সাথে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, নানা ধরনের উদ্ভাবনী প্রন্থা ও পদ্ধতির মাধ্যমে যানযট মোকাবেলা, চুরি ছিনতাই প্রতিরোধ, বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং নিয়ন্ত্রণ, যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন, একের পর এক হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে সফলতা, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে সাহসী ভুমিকা রাখা, যোগদানের পর থেকে ত্রিশালে খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ বিভিন্ন অপরাধ, মাদক নির্মূল,ডাকাতি সহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিডিয়া ও জনবান্ধব এই কর্মকর্তার আচরনে মুগ্ধ ত্রিশালের জনগন। গত ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পৌর শহরের সোনালি ব্যাংক থেকে প্রবাসীর স্ত্রী শিরিন আক্তার সোনালী ব্যাংক হতে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে রিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নাঈম মোটর গ্যারেজে পৌঁছামাত্রই মোটরসাইকেল যোগে এসে দুই ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে যায়। তখন ভিকটিম চিল্লা চিল্লি করলে ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ডে থাকা টহল পুলিশ ছিনতাই কারীদের পিছন পিছন দাওয়া করে ৬লক্ষ টাকা ,মোবাইল ও ব্যাংকের চেক বই উদ্ধারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেন। এ ছাড়াও ত্রিশাল থানা রায়মনির হাসমতের মোড় থেকে ৫জন ডাকাত,দরিরামপুর বাসস্টেশন থেকে ৭ জন ডাকাত,চেলের ঘাট নামক স্থানে ৩ জন ডাকাত,বালিপাড়া রেল স্টেশন থেকে ৭ জন ডাকাত সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন ওসি কামাল হোসেন। তার ব্যতিক্রমী আরো উদ্যোগ হলো- থানাকে দালালমুক্ত করে মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ ও জমির বিবাদ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ০১ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার, স্কুল ও কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি গঠন ইত্যাদি।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *