মল্লিক জামাল, স্টাফ রিপোর্টার: বরগুনার তালতলী বাজার সংলগ্ন বগীর দোনা খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা এমন সংবাদ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের মোবাইল ও মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারি শফিকুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল ২০২৪) সকাল সাড়ে ১২ টার দিকে এঘটনা ঘটে। সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরী হওয়ায় প্রবাহমান খাল বন্ধ হয়ে পানি নিষ্কাসনে সমস্যার সৃষ্টি হয়ে খালটি দিনে দিনে মরা খালে পরিণত হচ্ছে।আর এই সুযোগে ভূমিদস্যরা খালের পার দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন ।খালের প্রান পিরে পেতে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন। ওয়াটার্স কিপার বাংলাদেশ তালতলী উপজেলায় শাখার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান। তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন বলেন, একদল ভূমিদস্য প্রতিনিয়ত খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন। যার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ বিপর্য হচ্ছে প্রকৃতি তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে খালটির আগের রূপে ফিরে আনা। আর তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেদের সাথে আচরণে বুঝাযায় অবৈধ দখলদাররা কতটা শক্তিশালী এবং বেপরোয়া। এই ন্যাকার জনল ঘটনা আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তালতলী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিষয়টা দুঃখজনক। আমি রনিকে বলেছি সাংবাদিকের গাড়ির চাবি আটকে রাখার বৈধতা কে দিয়েছে? সাংবাদিক তার কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই অবৈধ দখলদারদের থেকে খাল দখলমুক্ত করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে। তালতলী সাংবাদিক ঐক্যজোটার সভাপতি ইমরান হোসাইন বেলাল বলেন, কর্মরত সাংবাদিকের কাজে বাঁধার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি একই সাথে খাল দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বলেন, অবৈধ স্থাপনার খবর শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি এবং তাদের কোন কাগজপত্র আছে কিনা তা নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, সরকারি খালের উপরে কোন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা গড়ে তোলা যাবে না এবং অবৈধ স্থাপনা তৈরীর কোন সুযোগ নেই।