ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ মার্কেটের প্লাষ্টার খসে পড়ছে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে,যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে ভবনটি। ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রানহানির মত ঘটনা। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি এতই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে- যেকোনো সময় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। সংস্কারের অভাবে মার্কেটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছাদের এবং দেয়াল ও পিলারের পলেস্তারার খসে পড়েছে। বর্ষার সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। উপজেলা পরিষদ মার্কেটের বেহাল অবস্থা, জরার্জীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা পরিশদ মার্কেটটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কাৃ। দুই তলা মার্কেটটির ছাদ ও চারপাশের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খসে পড়ছে। পিলারে ধরেছে বড় বড় ফাটল। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী টিভির মেকানিক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, দুইমাস আগে তার রুমের ছাদ থেকে বিশালাকৃতির ঢালাইসহ পলেস্তেরার একটি খণ্ড আকস্মিকভাবে মাথার সামনে খুলে পড়ে। এতে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান, যখনই ছাদের দিকে তাকাই, তখনই ভয়ে আঁতকে উঠি। সব সময় ভয়ের মধ্যে থেকে ব্যবসা করতে হচ্ছে এ ব্যাপারে চরভদ্রাশন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ভবন কি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিগত সাত আট বছর যাবত দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রেসক্লাবের অফিসটি চালিয়ে আসছিলাম কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতই খারাপ গত দুই বছর যাবত এইখানে আর কেউ অফিস করতে চায় না। যে কারণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং গুলি বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাবের বাইরেই করতে হয়। ভবনটি দ্রুত অপসারণ করে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ব্যবসায়ীরা বলছে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ধরেছে।’ জানা গেছে,এই উপজেলা পরিশদ মার্কেটে ৭টা মোবাইলে দোকান ,তিনটি টিভি মেকানিকের দোকান,দুইটি ইলেকট্রিক দোকান,একটি ফটোকপির দোকান,একটি ব্যাংক ও একটি মুদির দোকান রয়েছে,এ মার্কেটটির দুই তলায় রয়েছে একটি ডিস লাইনের অফিস এবং দুটি প্রেসক্লাব।