আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় আবাসিক, অনাবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগে প্রিপেইড মিটারে স্থাপনে চরম আপত্তি জানিয়েছে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের জনগণ। এ বিষয়ে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা এমনিতেই অনুন্নত এলাকা, এখানে গরিব লোকের বসবাস বেশি। এ অবস্থায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিলে সাধারণ গ্রাহকরা আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হবেন। কারণ প্রতি রিচার্জে হাজারে ২শ ৪০ টাকা, মিটার ভাড়া ৪০ টাকাসহ ডিমান্ড ও সারচার্জ কাটা হবে। বক্তারা আরও বলেন, সাধারণ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল কখনই বকেয়া থাকে না, বকেয়া থাকে সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। বক্তারা প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রকল্প থেকে গাইবান্ধাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে ঘোষণা দেন বক্তারা। ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসার সভাপতিত্বে ও অ্যাড. ফারুক কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু, পরিবেশ আন্দোলনের জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মমতাজুর রহমান বাবু, কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু, দলিল লেখক সমিতির জেলা সভাপতি মোস্তা মল্লিক, নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তী, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাড. শাহনেওয়াজ খান, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৈত্রেয় হাসান জয়িতা, মানবাধিকার কর্মী মনির হোসেন সুইট, কাজী আব্দুল খালেকসহ অন্যান্যরা।