বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা পৌনে ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহজাহান নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্র পক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী বলেন, ঢাকায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে ২০১৩ সালের ৯ জুন হতে ১০ জুন তারিখের যে কোন একদিন সৌদি প্রবাসী আব্দুল জলিলকে তার স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। পরে লাশ খুঁজে পাওয়ার পর নিহতের ছোট ভাই অজ্ঞাত আসামির কথা উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত জলিলের স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে হোমনা থানা পুলিশ। জলিলের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম আদালতে পরকীয়ার ঘটনার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দি দেয়। বাকি আসামিরাও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। মামলায় পর নিহত আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।