কুমিল্লায় দুই সাংবাদিককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনায় পোষ্টারের উপর পোষ্টার লাগানোয় ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক অফিসে ঢুকে জাতীয় দৈনিক দুই পত্রিকার সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন আকিবুল ইসলাম হারেছ দৈনিক কালবেল ও সোহেল রানা দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার চান্দিনা উপজেলা প্রতিনিধি। অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন চান্দিনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় থানার সামনে স্কুলমার্কেট দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক অফিসে এসে এ ঘটনা ঘটান শামীম। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, সাংবাদিকরা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে তিন সংবাদকর্মী কথা বলার সময় হঠাৎ দেখতে পান উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামীম হোসেন এর লোকেরা পোস্ট অফিসের দেওয়ালে থাকা আরেক উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন সিআইপির পোষ্টারের উপর পোষ্টার লাগাচ্ছে। এসময় সাংবাদিক আকিবুল ইসলাম হারেছ ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাই দেখে তার উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে আসে। সাংবাদিক হারেছকে হেনস্থা করতে দেখে সাংবাদিক সোহেল রানা তা ভিডিও ধারণ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামীম হোসেন ২০-২৫জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিক অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে শামীম হোসেন। পরে তার সাথে আসা সন্ত্রাসীরা ওই দুই সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সাংবাদিক সোহেল রানা জানান, এর আগে সাইফুল নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে ড্রেজিং করার নিউজের ঘটনায় ওই ড্রেজার ব্যাবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালত ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় শামীম। আজ (শুক্রবার) ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে আমাদের মারধর করেন তিনি। শামীম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, “তোর কারণে একটা লোক তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে জেল হাজতে। আজ তোকে মেরেই ফেলবো” জানতে পারি দন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল সম্পর্কে শামীম হোসেন এর আত্মীয় হন এবং ড্রেজিং এর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় অনেকেই তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তিনি চেয়ারম্যান না হয়েই জাতির বিবেক কলম সৈনিকদের উপর এভাবে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করলেন তাও আবার সাংবাদিকদের অফিসে ঢুকে। তিনি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন তাহলেতো চান্দিনায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করবেন। চান্দিনায় একের পর এক হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজী ও রংবাজীর রাজ্য তৈরি করবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন জানান, এক পোষ্টারের উপর আরেকজনের পোষ্টার লাগানো নিয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে ওই পোষ্টার লাগানো কর্মীদের বাক বিতন্ডা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমি শুধু সংবাদকর্মীদের বলেছি, আপনারা কেন ভিডিও করেছেন? কেউ তো অভিযোগ করেনি। পরে কিংকর ভাইয়ের অফিসে গিয়ে এটা সমাধান করেছি। দুই সংবাদ কর্মীর কাছে দু:খ প্রকাশ করেছি। আমাদের মাঝে হাসিখুশি কথাবার্তা হয়েছে। আমার লোক কাউকে মারধর করেনি। আর আমিও তাদেরকে হুমকি দেইনি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Share, Follow & Subscribe

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *